মুকেশ আম্বানি, ভারতীয় ব্যবসায়ী ও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান, বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। তার ব্যবসায়িক জীবনযাত্রা একাধারে সফলতা, পরিশ্রম এবং দুর্দান্ত চিন্তাভাবনার প্রতিচ্ছবি। তিনি ভারতে টেলিকম, পেট্রোকেমিক্যাল, তেল ও গ্যাসসহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছেন। মুকেশ আম্বানি শুধুমাত্র তার ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের জন্য পরিচিত নন, বরং তার বিলাসবহুল বাসস্থান, অ্যানটিলিয়া, যা মুম্বাইয়ে অবস্থিত, বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ির মধ্যে একটি । তার ধনী জীবন, সম্পদ এবং ব্যবসায়িক সাফল্য তাকে ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
মুকেশ আম্বানির পরিচয়
মুকেশ আম্বানি, ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান, ১৯ এপ্রিল ১৯৫৭ সালে ইয়েমেনের ব্রিটিশ ক্রাউন উপনিবেশে (বর্তমান ইয়েমেন) একটি গুজরাটি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ধীরুভাই আম্বানি এবং মা কোকিলাবেন আম্বানি ছিলেন। মুকেশের ছোট ভাই অনিল আম্বানি এবং দুই বোন নিনা ভদ্রশ্যাম কোঠারি ও দীপ্তি দত্তরাজ সালগাঁওকর।
বাচ্চাবেলা থেকেই তার জীবনযাপন ছিল সাধারণ । ১৯৫৮ সালে তার পরিবার ভারতে ফিরে আসে এবং মুম্বাইয়ের ভুলেশ্বর এলাকায় একটি সাধারণ দুই বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করতে শুরু করে। ধীরুভাই আম্বানি তার ব্যবসায়িক জীবনের সূচনা করেন মশলা ও বস্ত্র ব্যবসার মাধ্যমে, যার নাম ছিল “বিমল”, যা পরবর্তীতে “অনলি বিমল” নামে পরিচিত হয়।
মুকেশের শিক্ষাজীবন ছিল অত্যন্ত শৃঙ্খলাপূর্ণ। তিনি মুম্বাইয়ের পেদার রোডের হিল গ্রেঞ্জ হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করেন। এরপর তিনি ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল টেকনোলজি থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।
মুকেশ আম্বানি, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ করতে ভর্তি হন, কিন্তু ১৯৮০ সালে তিনি পড়াশোনা বন্ধ করে দেন এবং নিজের পিতার ব্যবসা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজে যোগ দেন। তার পিতা তাকে বাস্তব জীবনের শিক্ষা দেয়ার জন্য ভারতের ফিরে আসতে বলেন, কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন যে বাস্তব দক্ষতা অর্জন করা যায় শুধুমাত্র অভিজ্ঞতা থেকেই। মুকেশ এই সময়ে একটি সুতা তৈরির প্রকল্পের দায়িত্ব নেন।
মুকেশ আম্বানি, তার পিতার সহায়তায়, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিকে একটি ছোট কিন্তু শক্তিশালী ব্যবসা থেকে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কনগ্লোমারেট হিসেবে পরিণত করেন।
মুকেশ আম্বানির বাড়ির দাম কত
মুম্বাইয়ের অল্টামাউন্ট রোডে অবস্থিত ‘অ্যানটিলিয়া‘ হল এক অপূর্ব বিলাসবহুল বাড়ি, যা বিশ্বের সবচেয়ে দামি এবং বৃহত্তম বাসস্থানগুলোর মধ্যে একটি। ৪,০০,০০০ বর্গফুট এলাকার ওপর নির্মিত এই ২৭ তলা ভবনটি প্রায় ১৫,০০০ কোটি রুপি মূল্যবান। ২০০৬ সালে নির্মাণ শুরু হয়ে ২০১০ সালে শেষ হলেও, কিছু বাস্তু সংক্রান্ত সমস্যার কারণে আম্বানি পরিবার ২০১১ সালের পরে এখানে স্থানান্তরিত হন।
অ্যানটিলিয়ার বৈশিষ্ট্যসমূহ
মুকেশ আম্বানির বাসস্থান ‘অ্যানটিলিয়া’ তার বিশালতা এবং বিলাসবহুল আঙ্গিকের জন্য সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত। এখানে কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য যা অ্যানটিলিয়াকে অনন্য করে তোলে:
-
২৭ তলা ভবন: অ্যানটিলিয়া মুম্বাইয়ের অল্টামাউন্ট রোডে অবস্থিত ২৭ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন, যার প্রতিটি তলা উচ্চতার দিক থেকে একত্রিতভাবে একাধিক দ্বিস্তরের বিল্ডিংয়ের সমান।
-
অবিশ্বাস্য গাড়ি পার্কিং: অ্যানটিলিয়ার ছয়টি তলায় গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে একসঙ্গে ১৬৮টি গাড়ি পার্ক করা যেতে পারে। এটি মুকেশ আম্বানির সুপারকার সংগ্রহের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
-
হেলিপ্যাড: অ্যানটিলিয়ার ছাদে তিনটি হেলিপ্যাড রয়েছে, যা পরিবারের সদস্যদের দ্রুত আকাশপথে যাতায়াতের সুবিধা প্রদান করে। এই হেলিপ্যাডগুলো মুম্বাই শহরের দৃশ্য উপভোগ করারও সুযোগ দেয়।
-
প্রাইভেট সিনেমা হল: ৫০ আসন বিশিষ্ট একটি প্রাইভেট সিনেমা হল রয়েছে, যেখানে পরিবারের সদস্যরা ব্যক্তিগতভাবে চলচ্চিত্র উপভোগ করতে পারেন।
-
হ্যাঙ্গিং গার্ডেন : অ্যানটিলিয়ার তিনটি তলা হ্যাঙ্গিং গার্ডেন রয়েছে, যা বেবিলনের গার্ডেন থেকে অনুপ্রাণিত। এই গার্ডেনটি বাসার পরিবেশকে আরও সতেজ ও সজীব করে তোলে।
-
স্পা এবং সুইমিং পুল: বিলাসবহুল স্পা, সুইমিং পুল এবং জাকুজির মত আধুনিক সুবিধা, যা বাসস্থানে আরামদায়ক মুহূর্ত প্রদান করে।
-
স্নো রুম: অ্যানটিলিয়া বাড়িতে একটি স্নো রুম রয়েছে, যেখানে দেয়াল থেকে বরফ ঝরে এবং সেই সাথে একটি ঠাণ্ডা আবহাওয়া অনুভব করা যায়। এটি বাড়ির বিশেষ আকর্ষণের একটি।
-
বিশ্বমানের সুরক্ষা ব্যবস্থা: এখানে ৬০০ জন কর্মী রয়েছে যারা ৫-তারকা হোটেলের সেবা প্রদান করে এবং বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে Z+ নিরাপত্তা ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
-
অলৌকিক ডিজাইন: অ্যানটিলিয়ার নকশা সূর্য এবং পদ্মের থিমকে কেন্দ্র করে তৈরি, যা প্রতিটি রুমে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এখানে ব্যবহৃত হয়েছে মার্বেল, মূল্যবান রত্ন এবং মাদার-অফ-পার্লের মতো বিলাসবহুল উপকরণ।
এই সব বৈশিষ্ট্য অ্যানটিলিয়াকে শুধু একটি বাড়ি নয়, বরং একটি বিলাসবহুল জীবনযাত্রার প্রতীক করে তুলেছে।
অ্যানটিলিয়ার অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য:
অ্যানটিলিয়া শুধুমাত্র বাহ্যিকভাবে নয়, এর অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যও বৈশিষ্টপূর্ণ এবং অত্যন্ত বিলাসবহুল। মুকেশ আম্বানি এবং তার পরিবার অত্যন্ত গুণগত মানের ডিজাইন ও উপকরণ ব্যবহার করেছেন যাতে প্রতিটি স্থান নিজে থেকেই এক ধরনের রাজকীয় আভা ছড়ায়।
১. সাধারণ থিম ও ডিজাইন: অ্যানটিলিয়ার অভ্যন্তরের ডিজাইনটি সূর্য ও পদ্মের থিমের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যা পুরো ভবন জুড়ে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত। এখানে প্রাচীন মার্বেল, মূল্যবান রত্ন এবং মাদার-অফ-পার্লের মতো বিলাসবহুল উপকরণের ব্যবহার দেখা যায়।
২. বিশাল লিভিং রুম: অ্যানটিলিয়ার লিভিং রুমটি অত্যন্ত প্রশস্ত এবং এখানে ব্যবহার করা হয়েছে মিউটেড গোল্ড টোনের সোফা, যা আভিজাত্য এবং বিলাসিতার প্রতীক। একটি হাতের তৈরি কার্পেট এবং খাঁটি কাঠের আসবাবপত্র পুরো রুমের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে।
৩. ক্রিস্টাল ঝাড়বাতি: লিভিং রুমে একটি বিশাল এবং সুন্দর ক্রিস্টাল ঝাড়বাতি স্থাপন করা হয়েছে, যা রুমটির সমস্ত আলোর তাপমাত্রাকে একদম নিখুঁত করে তুলে এবং একটি রূপালী আভা প্রদান করে।
৪. বড় সিঁড়ি: অ্যানটিলিয়ার প্রধান সিঁড়িটি অত্যন্ত সুন্দর এবং শালীনভাবে ডিজাইন করা। এর রেলিং এবং সিঁড়ির কৃত্রিম উপকরণ গুলি আলাদা ধরনের আকর্ষণ সৃষ্টি করে।
৫. ফুলের সজ্জা: পরিবারের সদস্যদের পছন্দের ফুলগুলো বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় সাজানো থাকে, যা বাড়ির পরিবেশকে আরও সুন্দর এবং সতেজ করে তোলে।
৬. বিশ্বমানের আর্টওয়ার্ক: অ্যানটিলিয়ার বিভিন্ন দেওয়ালে বিশেষ ধরনের আর্টওয়ার্ক ও ফটোগ্রাফি প্রদর্শিত হয়, যার মধ্যে একটি বড় আকারের ছবি রয়েছে যেখানে দিরুবাই আম্বানির চিত্র আঁকা হয়েছে।
অ্যানটিলিয়া শুধুমাত্র এক ধরনের বাড়ি নয়, এটি একটি শিল্পকর্মের মতো, যা আধুনিক এবং ঐতিহ্যগত ডিজাইনের অনন্য মিশ্রণ। এটি উচ্চমানের সৌন্দর্য এবং বিলাসিতার প্রতীক।
বিশ্বের অন্যতম দামি বাড়ি: অ্যানটিলিয়া
বিশ্বের অন্যতম দামি বাড়ির তালিকায় অন্যতম স্থান দখল করেছে মুকেশ আম্বানির অ্যানটিলিয়া। মুম্বাইয়ের আলটামন্ট রোডে অবস্থিত এই ২৭ তলা বিলাসবহুল ভবনটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ির মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী, যা ব্রিটেনের বাকিংহাম প্যালেসের পরেই আসে। অ্যানটিলিয়ার দাম আনুমানিক ₹১৫,০০০ কোটি (প্রায় ১,৮০০ কোটি ডলার)।
এটি শুধু একটি বাড়ি নয়, একটি শৈল্পিক নির্মাণ যা আধুনিকতার সাথে ঐতিহ্যগত ডিজাইনও একত্রিত করেছে। বাড়িটি নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত প্রযুক্তি ও বিলাসবহুল উপকরণ, যেমন মার্বেল, মূল্যবান রত্ন, এবং মাদার-অফ-পার্ল।
এই বাড়ির মধ্যে রয়েছে তিনটি ছাদে হেলিকপ্টার ল্যান্ডিং প্যাড, ছয় তলা গাড়ি পার্কিং, সুইমিং পুল, প্রাইভেট সিনেমা থিয়েটার, ইয়োগা স্টুডিও, ডান্স স্টুডিও, এবং একটি বিশেষ স্নো রুম। এই বাড়ির ডিজাইনও অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে করা হয়েছে যাতে এটি ৮ রিচটার স্কেলের ভূমিকম্পও সহ্য করতে পারে।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ি হিসেবে অ্যানটিলিয়া শুধু মুকেশ আম্বানির আর্থিক অবস্থান নয়, বরং তার পরিবারের বিলাসী জীবনযাত্রার প্রতীকও হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অ্যানটিলিয়ায় সেবা ও নিরাপত্তা
মুকেশ আম্বানির অ্যানটিলিয়া শুধুমাত্র বিলাসিতার জন্য পরিচিত নয়, এটি তার সেবা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
১. নিরাপত্তা: অ্যানটিলিয়া একটি অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্বারা সজ্জিত। এখানে রয়েছে Z+ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা, যা বিশ্বের অন্যতম সেরা নিরাপত্তা সেবা প্রদান করে। সিকিউরিটি টিমের সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা বাড়ির প্রতিটি জায়গায় নজরদারি চালায়, এবং একাধিক নিরাপত্তা ক্যামেরা বাড়ির চারপাশে স্থাপন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, নিরাপত্তা চেকপয়েন্ট এবং একাধিক গেট আছে, যাতে অননুমোদিত প্রবেশ আটকানো যায়।
২. কর্মী সংখ্যা: অ্যানটিলিয়াতে প্রায় ৬০০ জন কর্মী কাজ করেন, যারা বাড়ির সমস্ত সেবা নিশ্চিত করেন। এই কর্মীরা পরিবারের সদস্যদের জন্য ৫ তারকা হোটেলের মতো পরিষেবা প্রদান করেন, যেমন খাদ্য প্রস্তুতি, পরিচ্ছন্নতা, ব্যক্তিগত সহকারী, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবা।
৩. বিশ্বমানের সেবা: অ্যানটিলিয়ার মধ্যে রয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ স্পা, সুইমিং পুল, একাধিক জ্যাকুজি, একটি ইয়োগা স্টুডিও, ডান্স স্টুডিও, এবং একটি আইসক্রিম পার্লার, যা পরিবার এবং অতিথিদের জন্য বিলাসবহুল সেবা নিশ্চিত করে। এই সেবাগুলি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত এবং সজ্জিত যা তাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও আরামদায়ক এবং সুখকর করে তোলে।
৪. হেলিকপ্টার ল্যান্ডিং প্যাড: অ্যানটিলিয়ার ছাদের তিনটি হেলিকপ্টার ল্যান্ডিং প্যাড রয়েছে, যা উচ্চমানের নিরাপত্তা এবং দ্রুত যাতায়াত সুবিধা প্রদান করে। এটি বিশেষত আম্বানি পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ অতিথি এবং ব্যবসায়িক সফরের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
অ্যানটিলিয়া শুধু একটি বিলাসবহুল বাড়ি নয়, এটি একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত আবাসস্থল, যেখানে প্রতিটি সুবিধা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।
মুকেশ আম্বানি কত টাকার মালিক
মুকেশ আম্বানি বর্তমানে ১২০ বিলিয়ন ডলার বা ১২ হাজার কোটি ডলারের মালিক, যা তাকে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ১২তম স্থানে স্থান দিয়েছে।
এটি বাংলাদেশি টাকায় (বাংলাদেশি টাকা):
১২০ বিলিয়ন ডলার = ১,০৬,০০,০০,০০,০০০ টাকা (এক লাখ ছয় হাজার কোটি টাকা)
এটি ভারতীয় রুপি (ভারতীয় রুপি):
১২০ বিলিয়ন ডলার = ৯,৯৬,০০,০০,০০,০০০ রুপি (নব্বই হাজার ছয়শত কোটি রুপি)
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, তার সম্পত্তির পরিমাণ বিশাল এবং এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ব্যক্তিগত সম্পত্তি। ভারতের আরেক শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি ১০৪ বিলিয়ন ডলারের মালিক হয়ে তালিকার ১৪তম স্থানে রয়েছেন।
মুকেশ আম্বানির দৈনিক আয় কত
মুকেশ আম্বানির দৈনিক আয় নির্ধারণ করতে হলে তার মোট সম্পদের (নেট ওয়ার্থ) পরিবর্তন বা বার্ষিক আয়ের উপর ভিত্তি করে হিসাব করা হয়। যেহেতু তার সম্পদ বিভিন্ন ব্যবসা ও বিনিয়োগ থেকে আসে, তাই নির্দিষ্ট আয়ের হিসাব কিছুটা অনুমাননির্ভর।
যদি ধরে নেওয়া হয়, মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদ (Net Worth) ১২০ বিলিয়ন ডলার, এবং বার্ষিক আয়ের হার গড়ে ৫% (বিনিয়োগ থেকে সম্ভাব্য আয় হিসেবে) হয়, তাহলে তার বার্ষিক আয় হবে:
১২০ বিলিয়ন ডলার × ৫% = ৬ বিলিয়ন ডলার।
এখন দৈনিক আয়ের জন্য বার্ষিক আয়কে ৩৬৫ দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায়:
৬ বিলিয়ন ডলার ÷ ৩৬৫ ≈ ১৬.৪৩৮ মিলিয়ন ডলার।
১. বাংলাদেশি টাকায় (১ ডলার = ১২০ টাকা ধরে):
১৬.৪৩৮ মিলিয়ন × ১২০ = ১৯৭২.৫৬ কোটি টাকা।
২. ভারতীয় রুপিতে (১ ডলার = ৮৫ রুপি ধরে):
১৬.৪৩৮ মিলিয়ন × ৮৫ = ১৩৯৭.২৩ কোটি রুপি।
তাই মুকেশ আম্বানির আনুমানিক দৈনিক আয়:
- বাংলাদেশি টাকা: ১৯৭২.৫৬ কোটি টাকা।
- ভারতীয় রুপি: ১৩৯৭.২৩কোটি রুপি।
এই হিসাব অনুমাননির্ভর এবং তার প্রকৃত দৈনিক আয়ের হার এর চেয়ে কম-বেশি হতে পারে