বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত। চিড়িয়াখানাটি বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৫০ সালে ঢাকার হাইকোর্ট চত্বরে জীবজন্তুর প্রদর্শন শালা হিসেবে এর সূচনা হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে এটি বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত করা হয় এবং ২৩ জুন সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ১৯৯৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, এটি ‘ঢাকা চিড়িয়াখানা’ থেকে ‘বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা’ নামে পরিবর্তন করা হয়। চিড়িয়াখানার বার্ষিক বাজেট প্রায় ৩৭.৫ মিলিয়ন টাকা, যার মধ্যে ২৫ মিলিয়ন টাকা পশুদের খাদ্য ব্যয়ে ব্যয়িত হয়। প্রতি বছর প্রায় ৩০ লক্ষ দর্শনার্থী বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করে থাকেন।
চিড়িয়াখানার ইতিহাস
উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে তৎকালীন নবাবরা ব্যক্তিগত পর্যায়ে ঢাকার শাহবাগে একটি চিড়িয়াখানার ঘোড়াপত্তন করেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর পূর্ব পাকিস্তানের একটি চিড়িয়াখানার প্রয়োজন অনুভূত হয়। এর প্রেক্ষিতে ৫০-এর দশকের শেষভাগে, চার থেকে পাঁচ একর জায়গা জুড়ে ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের সামনে বর্তমান ঈদগা এলাকায় ছোট আকারে একটি চিড়িয়াখানা স্থাপন করা হয়। এই চিড়িয়াখানাতে ছিল একটি বড় পুকুর, পুকুরের পাড়ে বলাকা প্রদর্শনী, সেখানে ছিল পাতিহাঁস, রাজহাঁস, শীতের পরিযায়ী হাঁস, হারগিলা, সারস, ময়ূর এবং বানর, হনুমান, হরিণ, সরীসৃপ এর মধ্যে ছিল অজগর কুমির।
চিড়িয়াখানার অন্যান্য আকর্ষণ
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার আরো কিছু উল্লেখযোগ্য আকর্ষণ হল এখানে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, সরীসৃপ, এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী। চিড়িয়াখানার প্রবেশপথে সোজা গিয়ে বাম দিকে আপনি দেখতে পাবেন বিভিন্ন প্রজাতির পাখির খাঁচা, যেখানে রয়েছে ময়ূর, ফ্লেমিঙ্গো, ঈগল এবং আরো অনেক ধরনের পাখি। পাখির খাঁচা পার হয়ে ডান দিকে গেলে পাবেন রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ এবং চিত্রা হরিণের খাঁচা।
ঢাকার চিড়িয়াখানার আয়তন
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার আয়তন প্রায় ৭৫ হেক্টর, যার মধ্যে ১৩ হেক্টরের দুটি লেক রয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার প্রাণী বৈচিত্র্য ও বর্ণনা
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় ১৯১ প্রজাতির ৪৯৭২টি প্রাণী রয়েছে। ২০২২ সালের হিসাবে প্রধান আকর্ষণ হল বাংলা রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ, বানর, সিংহ, জলহস্তী, নীলগাই, গন্ডার, ভাল্লুক, কুমির, জেব্রা, ফ্লেমিঙ্গো, পানকৌড়ি ও মাছরাঙা।
চিড়িয়াখানার ভ্রমণ পথনির্দেশিকা
চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করে সোজা গিয়ে বাম দিকের পশুপাখি দেখতে দেখতে ধীরে ধীরে উত্তর দিকে অর্থাৎ ডান দিকে যাবেন। বাঘ এবং হরিণের খাঁচা উত্তর দিকে বা ডানদিকের একেবারে শেষের দিকে। বাঘের খাঁচার পাশ দিয়ে বিশাল একটি লেক বয়ে গেছে যার নাম উত্তর লেক। বাঘ এবং হরিণ দেখা শেষ করে চিড়িয়াখানার মধ্য অঞ্চলে বিভিন্ন রকমের পাখি, বাঘ, সিংহ ইত্যাদি দেখতে পাবেন। কচ্ছপের খাঁচা, কুমির, গন্ডার এবং শকুনের খাঁচাও রয়েছে। সামান্য সামনে গেলে উট, শিয়াল এবং হায়নার খাঁচা দেখতে পাবেন।
গন্ডার ও শকুনের অবস্থা
গন্ডার একপ্রকার স্তন্যপায়ী প্রাণী যার ৫ প্রজাতির মধ্য চারটি ইতিমধ্যেই সংকটাপন্ন। গত তিন দশকে উপমহাদেশে ৭৫ শতাংশ শকুন মারা গেছে। ১৯৮০ দশকে সার্কভুক্তদের প্রায় চার লক্ষ শকুন ছিল। এখন এর সংখ্যা কমে ৪০ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
চিড়িয়াখানার ভেতরে অন্যান্য প্রাণী
চিড়িয়াখানার আয়তন ১৮৬ একর, তাই সম্পূর্ণ চিড়িয়াখানা দেখতে সময় লাগবে। বিভিন্ন প্রাণীর খাঁচার পাশে বেঞ্চ রয়েছে যেখানে বিশ্রাম নেওয়া যাবে। এছাড়াও জায়গায় জায়গায় ওয়াশরুম এবং পানি খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
কিভাবে যাবেন
চিড়িয়াখানা যেতে হলে আগে ঢাকায় যেতে হবে। ঢাকা থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে চিড়িয়াখানাগামী বাস চলাচল করে। এছাড়া সিএনজি, প্রাইভেটকার, টেক্সি এবং নিজস্ব পরিবহনেও চিড়িয়াখানায় যেতে পারেন।
কোথায় খাবেন
চিড়িয়াখানার সামনে বেশ কিছু খাবারের দোকান রয়েছে। তবে খাওয়ার পূর্বে খাবারের মূল্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন।
খোলা ও বন্ধের সময়সূচী
- গ্রীষ্মকাল (এপ্রিল থেকে অক্টোবর)
- সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
- শীতকাল (নভেম্বর থেকে মার্চ)
- সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
চিড়িয়াখানা প্রতি রবিবার বন্ধ থাকে। তবে রবিবার সরকারি ছুটির দিন হলে চিড়িয়াখানা খোলা থাকে।
প্রবেশ টিকিট মূল্য
দুই বছরের কম বাচ্চার জন্য টিকিট লাগে না। দুই বছরের বেশি যে কারো জন্য প্রবেশ টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা এবং মিউজিয়াম প্রবেশের জন্য টিকিট মূল্য ১০ টাকা। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ টিকিটের মূল্য অর্ধেক (আইডি কার্ড দেখাতে হবে)।
পিকনিক স্পট ভাড়া
উৎসব এবং নিঝুম পিকনিক স্পট সারা দিনের জন্য ভাড়া করতে যথাক্রমে ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা লাগবে।
কার পার্কিং ফি
মাইক্রোবাস, ট্যাক্সি, জিপ, প্রাইভেট কার, পিকআপের জন্য পার্কিং ফি ২০ টাকা। বাস, ট্রাক, মিনিবাসের জন্য ৪০ টাকা এবং সিএনজি, টেম্পু, মোটরসাইকেলের জন্য ১০ টাকা। রিকশা, বাইসাইকেলের জন্য ২ টাকা পার্কিং ফি।
রয়েল বেঙ্গল টাইগার
রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাংলাদেশের জাতীয় পশু। এদের দৈর্ঘ্য ৩ মিটার পর্যন্ত হতে পারে এবং ওজন ২৫০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এরা সাধারণত রাতের বেলায় শিকার করে এবং একাকী বাস করে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখতে চিড়িয়াখানায় প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী আসেন।
জলহস্তী ও কুমির
জলহস্তী পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলচর প্রাণী হিসেবে পরিচিত। পুরুষ জলহস্তীর দৈর্ঘ্য ৩.৫ মিটার এবং উচ্চতা ১.৫ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। এদের ওজন ৩২০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। জলহস্তীর খাঁচার কাছেই কুমিরের খাঁচা রয়েছে যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির কুমির দেখতে পাবেন।
বানর ও হনুমান
চিড়িয়াখানার বানরের খাঁচায় বিভিন্ন প্রজাতির বানর এবং হনুমান রয়েছে। এদের মজার কাণ্ডকারখানা দর্শকদের আকর্ষণ করে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এই অংশটি অনেক মজাদার।
গন্ডার
গন্ডার একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং এর ৫টি প্রজাতির মধ্যে ৪টি ইতিমধ্যেই সংকটাপন্ন। গন্ডার ৪০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। চিড়িয়াখানায় গন্ডারের খাঁচায় এদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড দেখতে পারেন।
পিকনিক ও বিনোদন
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় পিকনিক স্পট, বেঞ্চ এবং বিশ্রামাগারসহ বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। এটি একটি আদর্শ বিনোদন কেন্দ্র যেখানে পরিবার এবং বন্ধুরা সময় কাটাতে পারেন। পিকনিক স্পট ভাড়া নিতে হলে আগে থেকে বুকিং করতে হবে।
চিড়িয়াখানার নিয়মাবলী
চিড়িয়াখানায় প্রবেশের সময় কিছু নিয়মাবলী মেনে চলতে হয়। পশুদের খাঁচায় খাবার দেওয়া, খাঁচার কাছে গিয়ে তাদের বিরক্ত করা নিষিদ্ধ। এছাড়া, চিড়িয়াখানার ভেতরে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার নিয়ম মানতে হয়।
সংরক্ষণ ও শিক্ষা
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার অন্যতম উদ্দেশ্য হল পশু সংরক্ষণ এবং শিক্ষা। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পশু সংরক্ষণ করা হয় এবং দর্শনার্থীদের পশু সম্পর্কে জানার সুযোগ দেওয়া হয়। বিভিন্ন সময়ে শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম এবং প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
যোগাযোগ
- চিড়িয়াখানার ঠিকানা: বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা, মিরপুর-১, ঢাকা।
- ফোন: +88 02 58053030
- ইমেল: [email protected]
- ওয়েবসাইট: https://bnzoo.gov.bd/
জরুরি তথ্য
চিড়িয়াখানায় যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে চিড়িয়াখানার সিকিউরিটি বা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করুন। চিড়িয়াখানার ভেতরে ফার্স্ট এইড এবং মেডিকেল সুবিধা রয়েছে।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার চিড়িয়াখানা ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য করবে। চিড়িয়াখানার অসংখ্য প্রাণী ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সময় নিয়ে ঘুরে দেখুন।
বিশেষ ইভেন্ট ও কার্যক্রম
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় বিশেষ দিনগুলোতে বিভিন্ন ইভেন্ট ও কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। যেমন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস, বন্যপ্রাণী দিবস, চিড়িয়াখানার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ প্রদর্শনী ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম আয়োজন করা হয়। এসব ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে দর্শনার্থীরা বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ সংরক্ষণ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও জ্ঞান লাভ করতে পারেন।
পশুদের খাওয়ানো
চিড়িয়াখানায় নির্দিষ্ট সময়ে পশুদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। এই সময় দর্শনার্থীরা পশুদের খাওয়ার প্রক্রিয়া দেখতে পারেন, যা একটি আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা। খাওয়ানোর সময়সূচী চিড়িয়াখানার নোটিশ বোর্ডে দেওয়া থাকে।
চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরীণ নৌবিহার
চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে লেকের উপর নৌবিহারের ব্যবস্থা রয়েছে। এই নৌবিহার চিড়িয়াখানা ভ্রমণকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। লেকের নৌকা ভ্রমণের সময় আপনি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও জলজ প্রাণী দেখতে পাবেন। নৌবিহারের জন্য আলাদা টিকিট কাটতে হয়।
শিশুপার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র
চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে একটি শিশুপার্ক রয়েছে যেখানে শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইড ও খেলনার ব্যবস্থা রয়েছে। এটি শিশুদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ, যেখানে তারা খেলে আনন্দ উপভোগ করতে পারে। এছাড়াও, চিড়িয়াখানায় একটি মিনি ট্রেন সার্ভিস রয়েছে যা দর্শনার্থীদের চিড়িয়াখানার বিভিন্ন অংশে ঘুরিয়ে দেখায়।
ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি
চিড়িয়াখানায় ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির অনুমতি রয়েছে। আপনি চিড়িয়াখানার ভেতরে বিভিন্ন প্রজাতির পশু ও পাখির ছবি তুলতে এবং ভিডিও করতে পারেন। তবে পেশাদার ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির জন্য পূর্ব অনুমতি নিতে হয়।
চিড়িয়াখানার কর্পোরেট সেবা
চিড়িয়াখানায় কর্পোরেট সেবার ব্যবস্থাও রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেট হাউস তাদের ইভেন্ট, কর্মশালা বা সেমিনার চিড়িয়াখানার নির্দিষ্ট স্থানে আয়োজন করতে পারে। এর জন্য চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সাথে পূর্ব আলোচনা ও বুকিং করতে হয়।
সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
চিড়িয়াখানায় পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চিড়িয়াখানায় সার্বক্ষণিক সিকিউরিটি গার্ড মোতায়েন করা থাকে। এছাড়া, জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রও রয়েছে।
দর্শনার্থীদের জন্য নির্দেশিকা
- পশুদের বিরক্ত করবেন না: খাঁচায় হাত দেওয়া বা পশুদের খাঁচায় খাবার দেওয়া নিষেধ।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন: চিড়িয়াখানার ভেতরে ময়লা আবর্জনা ফেলা নিষেধ। নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনা ফেলুন।
- শব্দদূষণ করবেন না: চিড়িয়াখানার ভেতরে উচ্চস্বরে কথা বলা বা চিৎকার করা থেকে বিরত থাকুন।
- নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলুন: চিড়িয়াখানার ভেতরে নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলুন এবং সিকিউরিটি গার্ডদের সহায়তা করুন।
চিড়িয়াখানার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন নতুন প্রজাতির প্রাণী আনা, খাঁচাগুলোর সংস্কার, দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য নতুন অবকাঠামো নির্মাণ ইত্যাদি কাজ চলমান রয়েছে। এর ফলে চিড়িয়াখানা আরও আকর্ষণীয় ও নিরাপদ হয়ে উঠবে।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
চিড়িয়াখানার উন্নয়ন ও প্রাণী সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সাথে সহযোগিতা করা হয়। বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় চিড়িয়াখানায় বিশেষ প্রজাতির প্রাণী আনা হয় এবং সংরক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
দর্শনার্থীদের মতামত
দর্শনার্থীদের মতামত ও পরামর্শ চিড়িয়াখানার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ নিয়মিতভাবে দর্শনার্থীদের মতামত সংগ্রহ করে এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন পরিবর্তন ও উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে।
উপসংহার
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা একটি অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র যা প্রাণী সংরক্ষণ, শিক্ষা এবং বিনোদনের জন্য অসাধারণ সুযোগ প্রদান করে। এটি পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটি দিন কাটানোর জন্য আদর্শ স্থান। চিড়িয়াখানার মনোরম পরিবেশ, বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দর্শনার্থীদের অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দদায়ক করে তোলে।