জাতীয় উন্নয়নের নতুন ধারা শুরু হলো আজ ২০ এপ্রিল, রবিবার। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে, যার সম্মিলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪,২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, প্রকল্পগুলোর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন রয়েছে ৩,০০১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ ১৬,৭১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থ ৪,৪২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
১৬টি প্রকল্প – কোন খাত কতটা গুরুত্ব পেল?
নিচে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর খাতভিত্তিক সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো:
স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন – ৫টি প্রকল্প
প্রাথমিক অবকাঠামো উন্নয়ন, পানীয় জল ও স্যানিটেশন সংক্রান্ত প্রকল্পগুলো এ খাতের অন্তর্ভুক্ত।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলা
‘জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় মাল্টি-সেক্টর (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের মাধ্যমে কক্সবাজারে সেবার পরিধি ও সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
চট্টগ্রাম শহরের উন্নয়ন
-
পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলা
-
পানি সরবরাহ অবকাঠামো আধুনিকায়ন
-
‘লাইভেবল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ সিটিস’ প্রকল্পের আওতায় বসবাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিতকরণ
পরিবেশ ও জলবায়ু
-
বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে বায়ুমান মনিটরিং প্রকল্প
-
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ
কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুটি প্রকল্পে কৃষি উৎপাদন ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
পানি সম্পদ ও নৌপরিবহন
-
বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প
-
নদী, খাল ও বাঁধ পুনর্বাসন সংক্রান্ত প্রকল্প
রেল যোগাযোগ
‘গ্রিন রেলওয়ে পরিবহন প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা’ প্রকল্পের মাধ্যমে রেলের পরিবেশবান্ধব রূপান্তর শুরু হবে।
জ্বালানি ও ভূতাত্ত্বিক গবেষণা
-
তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডে অনুসন্ধান কূপ খনন
-
ভূতাত্ত্বিক জরিপের আধুনিকীকরণ
শিক্ষা খাত
‘সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ)’ এর ৪র্থ সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।
অর্থ খাত
‘ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট প্রজেক্ট-২ (FSSP-2)’ এর আওতায় নতুন প্রজেক্ট প্রিপারেশন অ্যাডভান্স (PPA) গ্রহণ করা হবে।
এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় উপস্থিত ছিলেন আইন, পররাষ্ট্র, শিল্প, সমাজকল্যাণ, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, পরিবেশসহ একাধিক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা। প্রত্যেকে নিজ নিজ খাতের উন্নয়ন বিষয়ে মতামত প্রদান করেন।
২০২৫ সালের শুরুতেই একনেকের এই সিদ্ধান্ত আগামী দিনের উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করবে। শিক্ষা, কৃষি, পরিবেশ ও অবকাঠামোর মতো মৌলিক খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি দেশের টেকসই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।