মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন স্থাপনা। ময়মনসিংহ শহর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই রাজবাড়িটি ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সংযোগস্থল থেকে ১ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত
মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ির ইতিহাস
মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা, যা ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলায় অবস্থিত। মুক্তাগাছার ইতিহাসের শিকড় মোগল আমলের আলাপসিং পরগনায় ফিরে যায়, যা ছিল একসময়ে খাজনার দায়ে নিলামে বিক্রি হয়ে যায়। শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরী এই ভূমির পত্তন লাভ করেন এবং এর পরবর্তীতে তার চার পুত্র—রামরাম, হররাম, বিষ্ণুরাম, ও শিবরাম—এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন।
১৭৭৯ সালে শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র রামরাম আচার্য চৌধুরী তার পিতার জমিদারি পরিদর্শনে আসেন। তিনি আলাপশাহীতে ভ্রমণ করতে গিয়ে আয়মান নদী দিয়ে বিনোদবাড়ি গ্রামে পৌঁছান। এই সময়, বিনোদবাড়িতে কয়েকজন গরীব মানুষ বসবাস করছিল। নতুন ভূস্বামী রামরামের আগমনে গ্রামবাসীরা সাধ্যমত উপহার উপঢৌকন নিয়ে তাকে দেখতে আসেন।
উপহার সামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান এবং নির্মাণ শৈলিতে আকর্ষণীয় ছিল একটি গাছা পিলসুজ, যা মুক্তারাম নামের একজন কর্মকার উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। রামরাম আচার্য চৌধুরী প্রজাদের সংবর্ধনায় অত্যন্ত খুশি হয়ে এই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য, মুক্তারামের নামের প্রথম অংশ ‘মুক্তা’ এবং তার উপহারের গাছা একত্রে করে বিনোদবাড়ির নাম পরিবর্তন করে ‘মুক্তাগাছা’ রাখেন। এই ঘটনার মাধ্যমে মুক্তাগাছা নামকরণের ইতিহাস প্রতিষ্ঠিত হয়, যা আজও প্রচলিত রয়েছে।
মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ির ইতিহাস একটি রঙিন এবং ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ধারণ করে। ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার এই জমিদার বাড়ির পূর্ব নাম ছিল বিনোদবাড়ী। বগুড়ার ঝাকর থেকে চার ভাই ফুলবাড়িয়া, শিবগঞ্জ ও মুক্তাগাছার বানারপাড় হয়ে আয়মন নদী দিয়ে বর্তমান চৌরঙ্গীর মোড় বজড়া যুগে রাজঘাটে যাত্রা বিরতি করেন। বিনোদবাড়ী এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ছিমছাম গোছানো পরিবেশে সবাই বিমোহিত হতো, এবং তা দেখে জমিদাররা এখানে রাজবাড়ি নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেন।
মুক্তাগাছা রাজঘাটের পাশে জমিদাররা একখণ্ড ভূমি নির্বাচন করে রাজপ্রাসাদ নির্মাণ করেন। শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরীর চার পুত্র রাজবাড়ির আশপাশে নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেন:
-
রামরাম: তিনি কুলবিগ্রহ ও রাজরাজেশ্বরী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন, যা অসাধারণ সব কারুকার্য দ্বারা সমৃদ্ধ। এই মন্দিরটি বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর দ্বারা সংস্কারিত হয়ে পর্যটকদের আকর্ষণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
-
হররাম: তিনি শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে ৩০ ফুট উচ্চতার হর রামেশ্বর শিব বিগ্রহ স্থাপন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, ১৯৭১ সালে এই মন্দিরে থাকা শিব বিগ্রহ, গোপাল বিগ্রহ এবং রাধা কৃষ্ণের মূর্তি চুরি হয়ে যায়, যা স্থানীয়দের মতে ভারতের বিভিন্ন মন্দিরে পাচার হয়ে গেছে।
-
বিষ্ণুরাম: তিনি পানীয় জল সংকট মেটাতে বিরাট একটি দীঘি খনন করেন, যা ‘বিষ্ণু সাগর’ নামে পরিচিত। ১৭৬২ থেকে ১৭৭০ সালের মধ্যে এই দীঘিটি খনন করা হয়। এটি মন্দার দোকানের পূর্ব পাশে পাঁচ একর জায়গা নিয়ে বিস্তৃত ছিল এবং জমিদারদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল এই দীঘির স্বচ্ছ ও শীতল পানি।
-
শিবরাম: জমিদার শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরীর সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শিবরাম আচার্য চৌধুরী রাজবাড়ির নিরাপত্তা এবং শোভা বৃদ্ধির জন্য একটি বৃহৎ পরিখা খনন করেন, যা আয়মন নদী থেকে শুরু হয়ে রাজবাড়ি ঘিরে আবার নদীতে গিয়ে পড়েছে। বর্তমানে এই পরিখাগুলি ছোট ছোট দীঘিতে পরিণত হয়েছে।
মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ির ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাংলাদেশের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির। এটি এখন পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান, যেখানে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বোঝার এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।
মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি স্থাপত্য
মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি ১৮ শতকে প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৮ শতকের শেষ দিকে ভূমিকম্পে বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে লন্ডন এবং ভারত থেকে সুদক্ষ কারিগর এনে জমিদার বাড়িটিকে ভূমিকম্প সহিষ্ণু করে পুনঃনির্মাণ করা হয়। বাড়িটি ময়মনসিংহ থেকে ১৬ কিলোমিটার পশ্চিমে, টাঙ্গাইল ও জামালপুর মহাসড়কের সংযোগস্থল থেকে ১ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত।
এ সময়, মুক্তাগাছা জমিদার ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্য কর্তৃক প্রথমে রাজা এবং পরে মহারাজা উপাধি পাওয়া ব্যক্তি। জমিদারি শাসন করতেন ১৬ জন আলাদা জমিদার। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর জমিদার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য ভারতে চলে যায় এবং জমিদার বাড়ি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।
বর্তমানে রাজবাড়ির ভেতরে জমিদারের মায়ের ঘর, অতিথি ঘর ও সিন্দুক ঘর রয়েছে। সিন্দুক ঘরে জমিদারের সোনা-দানা, টাকা-পয়সা এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র রাখা হতো। দর্শনার্থীরা এখন সিন্দুকের ভগ্নাবশেষ দেখতে আসেন। জমিদার তার স্ত্রীর সাথে দ্বিতীয় তলার বাংলোতে থাকতেন।
জমিদার আচার্য চৌধুরী জ্ঞান চর্চা করতে পছন্দ করতেন। তার ব্যক্তিগত লাইব্রেরি ‘জিতেন্দ্র কিশোর গ্রন্থাগার’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল, যা তৎকালীন পূর্ববঙ্গের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি ছিল। এখানে প্রায় ১০,০০০ বই ছিল, যার মধ্যে তালপাতায় লেখা পুঁথি এবং অন্যান্য দুর্লভ বই ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় বেশিরভাগ বই নষ্ট হয়ে গেলেও, কিছু বই ‘মুক্তাগাছা সংগ্রহ’ নামে বাংলা একাডেমিতে স্থানান্তরিত হয়।
মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি স্থাপত্য ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বের কারণে বিশেষভাবে পরিচিত। এই জমিদার বাড়িটি লর্ড কর্নওয়ালিসের আমলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পর ইংরেজদের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইংরেজদের মুগ্ধতা অর্জন করে জমিদাররা রাজা ও মহারাজা উপাধিতে ভূষিত হন, যেমন রাজা জগৎকিশোর আচার্য চৌধুরী, মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী, এবং মহারাজা শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী। এই সময় জমিদার বাড়ি বিশেষ ব্যক্তিদের পদচারণায় মুখরিত ছিল এবং অনেক সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা হয়।
রাজা জগৎ কিশোর আচার্য চৌধুরী ছিলেন একজন বিদ্যানুরাগী এবং ময়মনসিংহে মায়ের নামে বিদ্যাময়ী স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তার অধীনে মুক্তাগাছা রাজবাড়ি অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং স্থাপনা নির্মাণে অবদান রাখে। মুক্তাগাছার রাজারা ময়মনসিংহ টাউন হল, ময়মনসিংহ রেলওয়ে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল শশীলজ, আলেকজান্দার ক্যাসেল, এবং জামালপুরের শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী কলেজের মতো বহু প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তবে, মুক্তাগাছা রাজবাড়ির মূল্যবান অনেক সম্পদ চুরি হয়ে গেছে, তবে কিছু আসবাবপত্র এখনো ময়মনসিংহ জাদুঘর এবং ঢাকা জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
জমিদারের ছোট ছেলে কুমার ভূপেন্দ্র কিশোর নাটকপ্রেমী ছিলেন। তার নামে রাজবাড়িতে ‘ভূপেন্দ্র রঙ্গ পীঠ’ নামে একটি ঐতিহাসিক মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল, যা তখনকার সময়ে কলকাতার বাহিরে প্রথম ঘূর্ণায়মান মঞ্চ ছিল। বর্তমানে মঞ্চটির কোনো অস্তিত্ব নেই।
মুক্তাগাছা রাজবাড়ির অন্যতম বিশেষ স্থাপনা ছিল একমাত্র ঘূর্ণায়মান নাট্যমঞ্চ। এটি ১৮৫৫ সালে রাজা জগৎ কিশোর আচার্য চৌধুরীর ছোট ছেলে ভূপেন্দ্র কিশোর আচার্য চৌধুরী প্রতিষ্ঠা করেন। ভারতবর্ষে ঘূর্ণায়মান নাট্যমঞ্চের উদ্ভাবক ছিলেন শ্রী সতু সেন। এটি প্রতিষ্ঠা করতে খরচ হয়েছিলো ৩০ হাজার টাকা, যার মধ্যে ৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক ছিল। এই মঞ্চে বহু নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। তবে স্বাধীনতার পর এটি ময়মনসিংহ টাউন হল নিয়ে যাওয়ার পর আর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
রাজবাড়ির ভেতর আরও অনেক দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা রয়েছে। যেমন, মহিলাদের জন্য তৈরি বালাখানা, যেখানে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটি আরামদায়ক ঘর ছিল। এই ঘরটির ছাদে উঠতে একটি সিঁড়ি ছিল, তবে এখন তা নেই। এছাড়া, রাজবাড়ির বিভিন্ন জায়গায় ইংল্যান্ডের তৈরি লাহোর ভীম রয়েছে, যা ঐতিহাসিক মূল্য বহন করে।
১৮৭৫ সালে মুক্তাগাছা পৌরসভা এবং ১৮৮৭ সালে ময়মনসিংহ জেলা প্রতিষ্ঠা হয়, যা রাজবাড়ির পৃষ্ঠপোষকতায় সম্ভব হয়েছিল। এছাড়া, রাজবাড়ির পশ্চিম পাশে অবস্থিত ফ্লোরোসিমেন্টর ঘরটি ছিল অত্যন্ত বিশেষ, যেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ ছিল। এই ঘরের ছাদ এখন ভেঙে গেছে, তবে এখনও গরমে এটি শীতল অনুভূতি দেয়।
মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ির স্থাপত্য আজও তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব বজায় রেখেছে, যা ময়মনসিংহের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিত।
জমিদার বাড়ির শেষের দিকে একটি ছোট পুকুর ছিল, যা এখন প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। বাড়ির সীমানা প্রাচীরের কাছে বিশালাকার একটি সিংহ দরজা রয়েছে। জমিদার বাড়ির কিছু অংশ এখন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হচ্ছে, যেমন শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প, সাব রেজিস্ট্রি অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নবারুণ বিদ্যাইনিকেতন ইত্যাদি।
রাজবাড়িতে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেমন বিষ্ণু সাগর পুকুর, যুগল মন্দির, চাঁন খাঁর মসজিদ, বিবির ঘর, ঘূর্ণায়মান নাট্য মঞ্চ, সাত ঘাটের পুকুর, জলটং, রসুলপুর বন ইত্যাদি।
আজও ৩০০ বছরের পুরনো এই জমিদার বাড়ি ভগ্নপ্রায় হলেও, পর্যটকদের আনাগোনায় এটি এখনো জমজমাট থাকে।
মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি যাবেন কিভাবে?
ময়মনসিংহ থেকে টাঙ্গাইলগামী বাসে চড়ে মাত্র ২০-৩০ টাকা ভাড়ায় খুব সহজেই মুক্তাগাছা পৌঁছাতে পারেন। আপনি সিএনজি রিজার্ভ করেও যেতে পারেন অথবা লোকাল সিএনজিতে করে রাজবাড়িতে পৌঁছানো সম্ভব। ময়মনসিংহ থেকে মুক্তাগাছার দূরত্ব ১৭ কিলোমিটার, এবং পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় ৪০-৫০ মিনিট। মুক্তাগাছায় পৌঁছানোর পর আপনি হেঁটে বা রিকশায় চড়ে বাজারের ভেতর দিয়ে জমিদার বাড়িতে যেতে পারেন।
মুক্তাগাছা জমিদার বাড়িতে গেলে কোথায় থাকবেন ও খাবেন
মুক্তাগাছায় বেশ কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে যেখানে আপনি থাকতে পারেন। এছাড়া, ময়মনসিংহ শহরে বিভিন্ন মানের হোটেল পাওয়া যায়, সেগুলির মধ্যে আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটি বেছে নিতে পারেন। ময়মনসিংহের জনপ্রিয় হোটেলগুলির মধ্যে আমির ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল মুস্তাফিজ এবং সিলভার ক্যাসেল রয়েছে, যেগুলিতে আপনি ভরসা রাখতে পারেন।
কোথায় খাবেন ও কি খাবেন
মুক্তাগাছার বিখ্যাত মন্ডা খেতে ভুললে আপনার ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থাকবে। রাজবাড়ীর সামনে অবস্থিত গোঁপাল পাল এর ঐতিহ্যবাহী মন্ডার দোকানটি ১৫০ বছরের পুরনো এবং দেশের নানা অঞ্চলের মানুষের কাছে এর সুনাম রয়েছে। মুক্তাগাছাতে একমাত্র এই দোকানেই আপনি আসল ও অকৃত্রিম মন্ডা পাবেন। প্রতি পিস মন্ডার দাম ৩৫ টাকা এবং কেজি প্রতি দাম ৭০০ টাকা।
ভারি খাবার খেতে চাইলে মুক্তাগাছা বাজারের মানসম্মত হোটেলগুলোতে খেতে পারেন। ময়মনসিংহ শহরে খেতে চাইলে প্রেসক্লাব ক্যান্টিনের মোরগ পোলাও একটি জনপ্রিয় খাবার। এছাড়া, ভালো মানের খাবারের জন্য হোটেল ধানসিঁড়ি ও হোটেল সারিন্দা বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয়