মায়ের সম্পত্তি ভাগের নিয়ম: ইসলামী ও বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিশদ বিবরণ

মায়ের সম্পত্তি ভাগের নিয়ম: ইসলামী ও বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিশদ বিবরণ

সম্পত্তি উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে মায়ের সম্পত্তি ভাগের নিয়ম একটি জটিল এবং সংবেদনশীল বিষয়। বাংলাদেশের আইন এবং ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী এই সম্পত্তির ভাগাভাগির নিয়ম আলাদা ভাবে নির্ধারিত। এই ব্লগ পোস্টে আমরা ইসলামী আইন ও বাংলাদেশের উত্তরাধিকার আইনের আলোকে মা থেকে উত্তরাধিকারী সন্তানদের সম্পত্তি ভাগের নিয়ম আলোচনা করব।

ইসলামী শরীয়তে মায়ের সম্পত্তি ভাগের নিয়ম

ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী সম্পত্তি ভাগের নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে। উত্তরাধিকার বা ‘ফারায়েজ’ হিসাবে পরিচিত এই নিয়মে মায়ের সম্পত্তি সন্তানদের মধ্যে কীভাবে ভাগ হবে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।

ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী মায়ের সম্পত্তির উত্তরাধিকার নির্ধারণের বিশেষ নিয়ম রয়েছে, যা কুরআন এবং হাদিসের ভিত্তিতে প্রণীত। ইসলামে একজন মা তার সম্পত্তি সন্তানদের মধ্যে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ভাগ করে দিয়ে যেতে পারেন। সাধারণত, উত্তরাধিকারীদের মধ্যে ভাগ করার জন্য কিছু মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ করা হয়, যা নিচে তুলে ধরা হলো:

১. মায়ের সম্পত্তির ভাগ নির্ধারণে মূল নীতিমালা

ইসলামে উত্তরাধিকার আইনে সাধারণত বাবা-মা, সন্তান, ভাই-বোন ইত্যাদি নিকটাত্মীয়দেরকে ওয়ারিশ (উত্তরাধিকারী) হিসেবে গণ্য করা হয়। মা মৃত্যুবরণ করলে তার সম্পত্তির ভাগ নির্ধারণের জন্য নিম্নোক্ত নিয়মগুলো প্রযোজ্য:

  • পুত্র ও কন্যার মধ্যে ভাগ: ছেলেরা মেয়েদের দ্বিগুণ সম্পত্তি পায়। অর্থাৎ, একটি ছেলের ভাগ দুই কন্যার সমান।

  • স্বামী (যদি জীবিত থাকে): যদি মায়ের স্বামী জীবিত থাকে, তবে তিনি স্ত্রীর সম্পত্তির এক-চতুর্থাংশ (১/৪) পাবেন যদি মায়ের সন্তান থাকে, আর যদি সন্তান না থাকে, তবে তিনি সম্পত্তির অর্ধেক (১/২) পাবেন।

  • সন্তানদের মধ্যে ভাগ: সন্তানের সংখ্যা এবং লিঙ্গ অনুযায়ী সম্পত্তির পরিমাণ নির্ধারিত হয়। ছেলেরা দ্বিগুণ অংশ পায় এবং মেয়েরা একক অংশ পায়।

২. উত্তরাধিকারীদের অগ্রাধিকার

কিছু ক্ষেত্রে, পরিবারের কাছের আত্মীয়দের মধ্যে নির্দিষ্ট অগ্রাধিকার থাকে। যেমন:

  • মায়ের সন্তান ও স্বামী (যদি জীবিত থাকে) প্রথম অগ্রাধিকারভুক্ত উত্তরাধিকারী হিসেবে বিবেচিত হয়।

  • মায়ের বাবা-মা (নানা-নানি): যদি সন্তান বা স্বামী না থাকে, তবে মায়ের সম্পত্তি তার মা-বাবার মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে।

৩. পূর্ব-পরিকল্পিত উইল বা ওসিয়ত

মা চাইলে মৃত্যুর আগে নিজের সম্পত্তির একটি অংশ নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে দিতে পারেন, তবে শরীয়াহ অনুসারে উত্তরাধিকারের এক-তৃতীয়াংশের বেশি ইচ্ছামত কাউকে দিতে পারবেন না। আর এই ওসিয়তের সুবিধাভোগী হতে পারে এমন কেউ, যিনি মূল উত্তরাধিকারী নন।

উদাহরণ হিসেবে সম্পত্তি ভাগ

ধরা যাক, একজন মা মৃত্যুর পূর্বে তার স্বামী এবং দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। এমন ক্ষেত্রে:

  • স্বামী পাবেন মায়ের সম্পত্তির ১/৪ অংশ।
  • বাকি ৩/৪ অংশ সন্তানেরা মধ্যে ভাগ হবে।
  • দুই ছেলে ও এক মেয়ে থাকায়, ছেলেরা দ্বিগুণ এবং মেয়ে একক ভাগ পাবে।

এইভাবে, ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী মায়ের সম্পত্তি সন্তানদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গতভাবে ভাগ করা হয়।

আরও পড়ুন

 

হিন্দু উত্তরাধিকার আইন অনসারে মায়ের সম্পত্তি ভাগের নিয়ম

হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে, মায়ের সম্পত্তি ভাগের নিয়ম ভিন্ন। সাধারণত, হিন্দু পরিবারে মায়ের সম্পত্তি তার ছেলে এবং মেয়েদের সমান ভাগে ভাগ করা হয়। হিন্দু আইনে ছেলেরা সম্পত্তির মূল অধিকারী হলেও সাম্প্রতিক পরিবর্তনে মেয়েরাও এখন সমান অধিকারী।

হিন্দু উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী মায়ের সম্পত্তির ভাগ নির্ধারণে কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে, যা হিন্দু উত্তরাধিকার আইন, ১৯৫৬ এবং পরবর্তী সংশোধনীগুলোর ভিত্তিতে প্রণীত। এই আইন অনুযায়ী মা মৃত্যুবরণ করলে তার সম্পত্তি সন্তান ও অন্যান্য নিকটাত্মীয়দের মধ্যে নির্দিষ্ট নিয়মে ভাগ করা হয়। এখানে মায়ের স্ব-অর্জিত সম্পত্তি ও পৈত্রিক সম্পত্তি আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয়।

মায়ের সম্পত্তি ভাগের নিয়ম

মায়ের সম্পত্তির উত্তরাধিকার নির্ধারণের জন্য নিম্নোক্ত নিয়মগুলো প্রযোজ্য:

  1. সন্তানের সমান অধিকার: যদি মা মৃত্যুকালে তার পুত্র এবং কন্যা রেখে যান, তবে হিন্দু উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী, ছেলে ও মেয়েরা সমান ভাগে মায়ের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবেন। এটি হিন্দু উত্তরাধিকার (সংশোধন) আইন, ২০০৫-এর পর থেকে কার্যকর হয়েছে, যেখানে ছেলে-মেয়ে উভয়ের সমান উত্তরাধিকার স্বীকৃত হয়েছে।

  2. স্বামী: যদি মায়ের স্বামী জীবিত থাকেন, তবে তিনিও মায়ের সম্পত্তির সমান ভাগের অধিকারী। অর্থাৎ, সন্তানদের পাশাপাশি স্বামীও সমানভাবে অংশ পাবেন।

  3. নাতি-নাতনি: যদি কোনো সন্তান মায়ের মৃত্যুর আগে মারা যান এবং সেই সন্তানের নিজস্ব সন্তান থাকে, তবে সেই নাতি-নাতনি তাদের মা-বাবার ভাগের উত্তরাধিকারী হবেন।

  4. মায়ের নিজের পরিবার (যদি সন্তান বা স্বামী না থাকে): যদি মা মৃত্যুর সময় কোনো সন্তান বা স্বামী রেখে না যান, তবে তার পৈত্রিক পরিবারের (যেমন মা, বাবা, ভাই-বোন) সদস্যদের মধ্যে সম্পত্তি ভাগ করা হবে।

উদাহরণস্বরূপ সম্পত্তি ভাগের নিয়ম

ধরা যাক, একজন মা মৃত্যুবরণ করেছেন এবং তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে জীবিত রয়েছে, এবং তার স্বামীও জীবিত আছেন। এমন ক্ষেত্রে:

  • মায়ের সম্পত্তি চার ভাগে ভাগ হবে— দুই ছেলে, এক মেয়ে এবং স্বামী প্রত্যেকে সমান একটি ভাগ পাবেন।

অর্থাৎ, যদি মায়ের সম্পত্তি ১০ লক্ষ টাকা হয়, তবে প্রত্যেকের অংশ হবে ২.৫ লক্ষ টাকা করে।

বিশেষ নিয়মাবলি

  • স্ব-অর্জিত ও পৈত্রিক সম্পত্তি: মায়ের নিজের উপার্জিত বা অর্জিত সম্পত্তি হলে সন্তানরা সমান ভাগে উত্তরাধিকারী হবেন। তবে পৈত্রিক সম্পত্তি বা মা যদি তার পৈত্রিক সম্পত্তি পান, তবে তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে এই সম্পত্তি ভাগ করা হবে।

  • উইল বা ওসিয়ত: যদি মা মৃত্যুর পূর্বে উইল বা ওসিয়ত করে যান, তবে সেই অনুযায়ী সম্পত্তি ভাগ করা হবে। তবে যদি কোনো উইল না থাকে, তাহলে আইন অনুযায়ী উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হবে।

এই নিয়মাবলি মায়ের সম্পত্তির ন্যায়সংগত এবং বৈধ ভাগ নিশ্চিত করে, যা উত্তরাধিকার আইন মেনে চলে।

সেক্যুলার আইন অনুসারে মায়ের সম্পত্তি ভাগের নিয়ম

যারা কোনো ধর্মীয় আইন অনুসরণ করতে চান না, তাদের জন্য সেক্যুলার আইন প্রযোজ্য হতে পারে। এক্ষেত্রে আদালতের মাধ্যমে সম্পত্তির ভাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবং এখানে ছেলে-মেয়ে উভয়ের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়।

সেক্যুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ আইন অনুযায়ী মায়ের সম্পত্তির ভাগ নির্ধারণে কোনো ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করা হয় না; বরং এতে নাগরিক অধিকার ও সমতার ভিত্তিতে সম্পত্তি বিভাজন করা হয়। বাংলাদেশে সেক্যুলার আইনের আওতায় পারিবারিক বা ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাগের ক্ষেত্রে সাধারণত নাগরিক সত্ত্বার ভিত্তিতে এবং সমানাধিকার নীতি অনুসরণ করা হয়।

মায়ের সম্পত্তির ভাগের নিয়ম (সেক্যুলার আইন অনুযায়ী)

সাধারণত, মায়ের নিজস্ব সম্পত্তি যদি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে ভাগ করতে হয় এবং উইল বা ওসিয়ত না থাকে, তবে নিকট আত্মীয়দের মধ্যে সমানাধিকার প্রয়োগ করা হয়। নিচে প্রধান নিয়মগুলো উল্লেখ করা হলো:

  1. সন্তানদের সমান অধিকার: সেক্যুলার আইনের অধীনে, মায়ের সম্পত্তিতে ছেলে ও মেয়ে সমান অধিকারী। ছেলে ও মেয়ের মধ্যে কোনো ধরনের বৈষম্য করা হয় না; বরং প্রত্যেক সন্তান সমান ভাগে উত্তরাধিকারী হবেন।

  2. স্বামী (যদি জীবিত থাকেন): যদি মায়ের স্বামী জীবিত থাকেন, তবে তিনিও সন্তানের মতো সমান অংশের অধিকারী হবেন। অর্থাৎ, স্বামী এবং প্রত্যেক সন্তান সমান ভাগে সম্পত্তি পাবেন।

  3. নাতি-নাতনি (যদি কোনো সন্তান মৃত্যুবরণ করেন): যদি মায়ের কোনো সন্তান মায়ের মৃত্যুর আগে মারা যান এবং সেই সন্তানের নিজস্ব সন্তান থাকে, তবে সেই নাতি-নাতনিরাও তাদের মা-বাবার অংশের অধিকারী হবেন।

  4. পিতামাতা বা নিকটাত্মীয়: যদি মা মৃত্যুকালে কোনো সন্তান বা স্বামী না রেখে যান, তবে মায়ের সম্পত্তি মায়ের বাবা-মা, ভাই-বোন বা নিকটতম আত্মীয়দের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হবে।

উদাহরণস্বরূপ সম্পত্তি ভাগের নিয়ম

ধরা যাক, একজন মা মৃত্যুবরণ করেছেন এবং তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে এবং স্বামী জীবিত আছেন। মায়ের সম্পত্তি যদি ১২ লক্ষ টাকা হয়, তবে সেক্যুলার আইন অনুযায়ী তা চারজনের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হবে। অর্থাৎ,

  • প্রত্যেকের অংশ = ১২,০০,০০০/৪=৩,০০,০০০

সুতরাং, দুই ছেলে, এক মেয়ে এবং স্বামী প্রত্যেকে ৩ লক্ষ টাকা করে পাবেন।

উইল বা ওসিয়ত

মা যদি মৃত্যুর আগে উইল বা ওসিয়ত করে যান, তবে সেই অনুযায়ী সম্পত্তি ভাগ হবে। তবে যদি কোনো উইল না থাকে, তাহলে সেক্যুলার আইনের অধীনে, স্বামী ও সন্তানদের মধ্যে সম্পত্তি সমানভাবে ভাগ হবে।

সেক্যুলার আইন অনুযায়ী এইভাবে ন্যায়সঙ্গতভাবে মায়ের সম্পত্তি ভাগ করা হয়, যা ব্যক্তিগত বা পারিবারিক ধর্মীয় বিধানের ওপর নির্ভর না করে নাগরিক অধিকার এবং সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করে।

মায়ের সম্পত্তি ভাগ নিয়ে আদালতের ভূমিকা

যদি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পত্তির ভাগ নিয়ে কোনো বিরোধ দেখা দেয়, তবে এটি আদালতের মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে। আদালত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করে এবং উত্তরাধিকার আইনের আলোকে রায় প্রদান করে।

উপসংহার

মায়ের সম্পত্তি ভাগের নিয়ম ইসলামী শরীয়ত এবং বাংলাদেশের আইনে ভিন্ন ভাবে নির্ধারিত। মুসলিমদের ক্ষেত্রে ছেলেরা দ্বিগুণ পায়, হিন্দুদের ক্ষেত্রে সমান ভাগ, এবং সেক্যুলার ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়েরা সমান অধিকার ভোগ করে। এই নিয়মগুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পরিবারে প্রায়শই জটিলতা দেখা দেয়।

মায়ের স্বামী (মৃত নারীর স্বামী) যদি বেঁচে থাকেন এবং সন্তান থাকে, তিনি মায়ের সম্পত্তির ১/৪ অংশ পাবেন। যদি সন্তান না থাকে, তাহলে স্বামী ১/২ অংশ পাবেন।

নাতি-নাতনিরা সাধারণত সরাসরি মায়ের সম্পত্তিতে অধিকার পায় না। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে, যেমন যদি সন্তান মারা যান, তখন নাতি-নাতনিরা সম্পত্তির অধিকারী হতে পারে।

হ্যাঁ, ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী মুসলিম ছেলেরা মায়ের সম্পত্তির দ্বিগুণ অংশ পায়, অর্থাৎ ছেলে ২ অংশ পেলে মেয়ে ১ অংশ পাবে।

হিন্দু উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী, ছেলে ও মেয়েরা সমান ভাগে মায়ের সম্পত্তি পায়। আগে ছেলেরা বিশেষ অধিকারী ছিল, তবে সাম্প্রতিক পরিবর্তনে মেয়েরাও সমান অধিকার পায়।

Summary
মায়ের সম্পত্তি ভাগের নিয়ম: ইসলামী ও বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিশদ বিবরণ
Article Name
মায়ের সম্পত্তি ভাগের নিয়ম: ইসলামী ও বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিশদ বিবরণ
Description
সম্পত্তি উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে মায়ের সম্পত্তি ভাগের নিয়ম একটি জটিল এবং সংবেদনশীল বিষয়। বাংলাদেশের আইন এবং ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী এই সম্পত্তির ভাগাভাগির নিয়ম আলাদা ভাবে নির্ধারিত। এই ব্লগ পোস্টে আমরা ইসলামী আইন ও বাংলাদেশের উত্তরাধিকার আইনের আলোকে মা থেকে উত্তরাধিকারী সন্তানদের সম্পত্তি ভাগের নিয়ম আলোচনা করব। ইসলামী শরীয়তে মায়ের সম্পত্তি ভাগের নিয়ম ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী সম্পত্তি ভাগের নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে। উত্তরাধিকার বা ‘ফারায়েজ’ হিসাবে পরিচিত এই নিয়মে মায়ের সম্পত্তি সন্তানদের মধ্যে কীভাবে ভাগ হবে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। মায়ের সম্পত্তি ভাগের সাধারণ নিয়ম ইসলামী উত্তরাধিকার আইন অনুসারে, একটি মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি ভাগ করা হয় তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে। যখন মা মারা যান, তখন তার সন্তানেরা উত্তরাধিকারী হিসেবে সম্পত্তির দাবি করে। এখানে একটি মূল নিয়ম হলো, ছেলে এবং মেয়েরা উভয়ই মায়ের সম্পত্তি পাবে, তবে ছেলে মেয়ের দ্বিগুণ অংশ পাবে। অর্থাৎ, একজন ছেলের যা পাওনা, একজন মেয়ে তার অর্ধেক পাবে
Author
Publisher Name
RBS Property
Publisher Logo

Join The Discussion

Compare listings

Compare
Open chat
Hello 👋
Can we help you?