ইসলামী ব্যাংক থেকে ভুয়া কোম্পানি খুলে ১১৪৪ কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে দেশের আলোচিত দুই প্রতিষ্ঠান—এস আলম গ্রুপ ও নাবিল গ্রুপ। এই অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় অর্থঋণ আদালতে মামলা হয়েছে এবং এস আলমের ২৬১৯ কোটি টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালে ইসলামী ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে “মার্কেট মাস্টার অ্যানালাইজার” নামে ভুয়া একটি ট্রেডিং কোম্পানির নামে নেওয়া হয় ৯৫০ কোটি টাকা ঋণ। এই কোম্পানির আসলেই কোনো অস্তিত্ব নেই! কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম হচ্ছেন নাবিল গ্রুপের মালিক আমিনুল ইসলামের মামা এবং কর্মচারী।
ঋণের টাকা থেকে এস আলম পেয়েছে ৪০০ কোটি টাকা, আর নাবিল গ্রুপ পেয়েছে ৫৫০ কোটি টাকা। এই টাকা জামানত ছাড়াই অনুমোদন দেন ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিনিয়োগ ইনচার্জ। পরবর্তীতে একটিও কিস্তি পরিশোধ না হওয়ায় আদালতে মামলা হয় এবং ৮ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংকের দাবি করা পাওনার পরিমাণ দাঁড়ায় ১১৪৪ কোটি টাকা।
⚖️ আইনি পদক্ষেপ ও তদন্ত:
-
মামলার বাদী: ইসলামী ব্যাংক গুলশান শাখা
-
মামলা নম্বর: ১৯৬/২০২৫
-
অভিযুক্ত: মার্কেট মাস্টার অ্যানালাইজার, শাহ আলম, শরিফুল ইসলাম
-
আদালতের নির্দেশ: এস আলমের ১৩৬০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, যেখানে রয়েছে ২৬১৯ কোটি টাকা
-
দুদক সূত্রে জানা যায়, এস আলমের সম্পদ অন্যত্র সরিয়ে ফেলার আশঙ্কায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের আর্থিক খাতে এমন জালিয়াতি দেশের জনগণের আস্থা নষ্ট করে। তাই সময় এসেছে, ব্যাংক খাতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোরভাবে তদারকি করার। মামলার তদন্তের অগ্রগতি ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত হওয়া দরকার।